সংবাদ শিরোনাম ::
শাহজাদপুরে আওয়ামীলীগের সাবেক দুই এমপির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা বেলকুচিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ  শাহজাদপুরে অটোবাইক ছিনতাই চক্রের ৬ জন আটক ৭ নভেম্বর না আসলে বাংলাদেশ বিলীন হয়ে যেত: বাউবি উপাচার্য বেলকুচির সেন ভাঙ্গাবাড়ী বাজার মসজিদের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন “জয় বাংলা” স্লোগান দেওয়ায় সাবেক পিপি-কে গণপিটুনি, পুলিশে সোপর্দ উলিপুরে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ভোট কেন্দ্র মেরামতের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ খাজা শাহ্ এনায়েতপুরী (রহ:) এর ১১০ তম ওরছ শরীফের দাওয়াত পত্র বিতরণ  রাজশাহীর মাঠে স্পীড স্কেটিংয়ে বগুড়ার স্কেটারদের ৩টি স্বর্ণপদক সহ ৮ পদক অর্জন এনায়েতপুরে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি উপলক্ষে আলোচনা সভা

মাথায় যত প্রশ্ন আসে

মেয়েদের গলার স্বর মিষ্টি হয় কেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৮:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪ ৮৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলা পোর্টাল: বয়ঃসন্ধির সময় ছেলেদের শরীরে এক বিশেষ ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়, যার নাম অ্যান্ড্রোজেন। আর মেয়েদের শরীরে নিঃসৃত হয় ইস্ট্রোজেন নামের এক হরমোন।

সাধারণত ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের গলার স্বর মিষ্টি, সুরেলা ও চিকন হয়ে থাকে। ছোট ছেলে বা মেয়েদের গলার স্বরে কোনো তফাত সাধারণত বোঝা যায় না। কিন্তু পরিবর্তন চোখে পড়ে বয়ঃসন্ধিকালে। এ সময় থেকে ছেলেদের গলার স্বর ভারী, গম্ভীর হতে থাকে। প্রথমে গলার স্বর ভাঙে। ধীরে ধীরে গভীর, তারপর গম্ভীর হয়ে যায়। কিন্তু সে তুলনায় মেয়েদের গলার স্বর ততটা পাল্টায় না। এর পেছনেও রয়েছে হরমোনের খেলা।

কথা বলার জন্য আমরা গলার স্বরযন্ত্র ব্যবহার করি। এই স্বরযন্ত্রের মধ্যে আছে স্বরপর্দা। এ পর্দার কম্পনে বায়ু-তরঙ্গের সৃষ্টি হয়, যা শব্দ বা স্বর তৈরি করে। শব্দ কম্পনের ওপরই কণ্ঠস্বরের মিষ্টতা নির্ভর করে। স্বরযন্ত্রের আয়তন বড় এবং স্বরপর্দা পুরু ও দীর্ঘ হলে তার কম্পাঙ্ক কম হয়। ফলে গলার স্বর মোটা ও গম্ভীর শোনায়। বিপরীতে স্বরপর্দা পাতলা হলে কম্পাঙ্ক বেশি হয়। আর তাতে গলার স্বর হয় মিষ্টি ও সুরেলা।’

বয়ঃসন্ধির সময় ছেলেদের শরীরে এক বিশেষ ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়, যার নাম অ্যান্ড্রোজেন। আর মেয়েদের শরীরে নিঃসৃত হয় ইস্ট্রোজেন নামের এক হরমোন। সব পুরুষালি বৈশিষ্ট্য, যেমন-দাড়ি ও গোঁফ গজানো এবং গলার স্বর ভারী হওয়ার জন্য অ্যান্ড্রোজেন হরমোনই দায়ী। এ হরমোনের প্রভাবে ছেলেদের স্বরযন্ত্রের আয়তন বাড়ে। তা ছাড়া স্বরপর্দাকে অনেক পুরু ও দীর্ঘ করে তোলে। ফলে তাদের কম্পাঙ্ক অনেক কম হয়। এ কারণে ছেলেদের গলার স্বর গভীর এবং গম্ভীর শোনায়।

মেয়েদের দেহে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের প্রভাব অনেক কম হওয়ায় তাদের স্বরযন্ত্রের আকার ও গঠন তেমন একটা পাল্টায় না। সে কারণে মেয়েদের কণ্ঠস্বরের কম্পাঙ্ক ছেলেদের তুলনায় বেশি হয়। তাই তাদের গলা শোনায় মিষ্টি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মাথায় যত প্রশ্ন আসে

মেয়েদের গলার স্বর মিষ্টি হয় কেন

আপডেট সময় : ০৬:৫৮:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪

বাংলা পোর্টাল: বয়ঃসন্ধির সময় ছেলেদের শরীরে এক বিশেষ ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়, যার নাম অ্যান্ড্রোজেন। আর মেয়েদের শরীরে নিঃসৃত হয় ইস্ট্রোজেন নামের এক হরমোন।

সাধারণত ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের গলার স্বর মিষ্টি, সুরেলা ও চিকন হয়ে থাকে। ছোট ছেলে বা মেয়েদের গলার স্বরে কোনো তফাত সাধারণত বোঝা যায় না। কিন্তু পরিবর্তন চোখে পড়ে বয়ঃসন্ধিকালে। এ সময় থেকে ছেলেদের গলার স্বর ভারী, গম্ভীর হতে থাকে। প্রথমে গলার স্বর ভাঙে। ধীরে ধীরে গভীর, তারপর গম্ভীর হয়ে যায়। কিন্তু সে তুলনায় মেয়েদের গলার স্বর ততটা পাল্টায় না। এর পেছনেও রয়েছে হরমোনের খেলা।

কথা বলার জন্য আমরা গলার স্বরযন্ত্র ব্যবহার করি। এই স্বরযন্ত্রের মধ্যে আছে স্বরপর্দা। এ পর্দার কম্পনে বায়ু-তরঙ্গের সৃষ্টি হয়, যা শব্দ বা স্বর তৈরি করে। শব্দ কম্পনের ওপরই কণ্ঠস্বরের মিষ্টতা নির্ভর করে। স্বরযন্ত্রের আয়তন বড় এবং স্বরপর্দা পুরু ও দীর্ঘ হলে তার কম্পাঙ্ক কম হয়। ফলে গলার স্বর মোটা ও গম্ভীর শোনায়। বিপরীতে স্বরপর্দা পাতলা হলে কম্পাঙ্ক বেশি হয়। আর তাতে গলার স্বর হয় মিষ্টি ও সুরেলা।’

বয়ঃসন্ধির সময় ছেলেদের শরীরে এক বিশেষ ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়, যার নাম অ্যান্ড্রোজেন। আর মেয়েদের শরীরে নিঃসৃত হয় ইস্ট্রোজেন নামের এক হরমোন। সব পুরুষালি বৈশিষ্ট্য, যেমন-দাড়ি ও গোঁফ গজানো এবং গলার স্বর ভারী হওয়ার জন্য অ্যান্ড্রোজেন হরমোনই দায়ী। এ হরমোনের প্রভাবে ছেলেদের স্বরযন্ত্রের আয়তন বাড়ে। তা ছাড়া স্বরপর্দাকে অনেক পুরু ও দীর্ঘ করে তোলে। ফলে তাদের কম্পাঙ্ক অনেক কম হয়। এ কারণে ছেলেদের গলার স্বর গভীর এবং গম্ভীর শোনায়।

মেয়েদের দেহে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের প্রভাব অনেক কম হওয়ায় তাদের স্বরযন্ত্রের আকার ও গঠন তেমন একটা পাল্টায় না। সে কারণে মেয়েদের কণ্ঠস্বরের কম্পাঙ্ক ছেলেদের তুলনায় বেশি হয়। তাই তাদের গলা শোনায় মিষ্টি।’