তীব্র তাপদাহের থেমে নেই কৃষক,মহালছড়িতে বোরোধান তোলা শুরু দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

- আপডেট সময় : ০৯:৫৩:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ৭৪ বার পড়া হয়েছে

উত্তম চাকমা, মহালছড়ি, খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধিঃ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কৃষকরা সোনালী ধান কাটতে মাঠে নামেন কৃষান- কৃষানিরা। তেমনি খাগড়াছড়ি জেলা মহালছড়িতে বোরোধান তোলা ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষক সংকটে আছে শ্রমিক। বাংলা নতুন বছরে শুরুতেই বোরো ধান কাটা শুরু করেছে কৃষকরা। ধান উৎপাদনের বড় মৌসুম হলো বোরো আবাদ।
সরজমিনে ২৯ই এপ্রিল সোমবার ২০২৪ খ্রিঃ ২নং মুবাছড়ি ইউনিয়নে কয়েকটি গ্রাম দেখা যায়,ব্রীজ পাড়া, মোহামনিপাড়া, হেডম্যান পাড়া,কাপ্তাই পাড়া,মনাটেক, খুল্যাংপাড়া, হেয়্যোংশ পাড়া,বাঘমারা,করল্যাছড়ি, গ্রামে বোরোধান তোলা ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা বৃষ্টি নাপরতে ঘরে তুলতে পারলে স্বস্তি পিরে আসবে বলে জানান কৃষকরা।
খুল্যাং পাড়া গ্রামে ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য চিকু চাকমা (৪৫) বলেন আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন পাবে। বৈশাখের প্রথম দিনে কৃষকরা ধান কাটতে মাঠে নামেন। বোরোধান ঘরে তোলার জন্য শ্রমিক সংকট রয়েছে। কারণ যার যার জমিতে ফসল তোলার চেষ্টা করছে। দিন মজুরি লোক না পাওয়াই সমস্যা আছি। পুরুষে দিন মজুরি ৬০০ টাকা মহিলা দিন মজুরি ৩০০ টাকা করে। তবে এই দামে হলেও ঠিক মত পাওয়া যাচ্ছে না লোক।
শান্তিপাড়া গ্রামে মিন্টু চাকমা (৪৫) বলেন এ বছর বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। আমি ৩ বিঘা জমি বর্গাচাষী বোরোধান চাষ করছি। বিঘা প্রতি ১০মন ধান দিতে হবে জমি মালিককে। ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কায় পাকা ধান কেটে নিরাপদে ঘরে তোলা নিয়ে চিন্তিত আছি।
এক কৃষক মিকু চাকমা(৩০) বলেন যত রোড হোক তার পর ও টেমে নেই মাঠে কৃষকরা বা আমরা ফসল যদি এই রোদ্রের মধ্যে সঠিক সময়ে ঘরে তুলতে না পারি। বৃষ্টি হলে সমস্যা হবে এই বেভে পুরো বছর সংসার চালাতে হিমচিম কেটে হবে। রোদ্ যত হোক ফসল ঘরে তুলতেই চাই।
মনাটেক গ্রামে অতুল খীসা (৩৮) বলেন আমি ১০ বিঘা নিজস্ব জমি চাষ করছি ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি সময়মতো ধান ঘরে তুলতে না পারলে আমাদের সমস্যা হবে। এই বোরো মৌসুমে আবাদে সারা বছরে ফসল পরিবারে ভরন- পোষন, ছেলে-মেয়েদের, লেখা-পড়া, খরচ যোগাতে হয়। বোরো আবাদই আমাদের একমাত্র ভরসা।
মহালছড়ি উপজেলা উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকতা তৃপ্তিকর চাকমা বলেন বৈশাখ মানেই বোরো ধান ঘরে তোলার সময়। তাই তো বৈশাখের প্রথম দিনে পাকা ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। একদিকে কৃষকরা ধান কাটছেন অন্যদিকে ধান মাড়াই সেই ধান রোদে শুকাচ্ছেন কেউবা আবার সেই ধান বস্তা বন্দি করে সংরক্ষণ করছেন। আর জানান ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে হাইব্রিড ধান ১২০০ পরিবার কৃষক ও উফশী ৮০০ পরিবার কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।
মহালছড়ি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তথ্য মতে জানা যায়, বোরোধান আবাদে মহালছড়ি উপজেলার ১২২৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য হাইব্রিড ৮৯৫ হেক্টর ও উফশী ৩৩০ হেক্টর জমিতে আবাদে লক্ষ্যমাত্রা। আবহাওয়া ভালো থাকলে ১৫/১৭ দিন ভিতরে বোরোধান তুলা শেষ করতে পারবে কৃসষরা।