লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী হলেন খোরশেদ, মামুন, জেসমিন
- আপডেট সময় : ০৯:৫৮:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪ ২৬ বার পড়া হয়েছে
সাত্তার সিকদার, লোহাগাড়া, চট্টগ্রামঃ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৭১টি কেন্দ্রের শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
(বুধবার) ৫জুন দিবাগত রাত আনুমানিক ৯টার দিকে এ ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি রির্টানিং অফিসার মোঃ ইনামুল হাছান।
সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলে। তবে কোনো কেন্দ্রেই অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী ফলাফলে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী খোরশেদ আলম চৌধুরী। তিনি ভোট পেয়েছেন ৩০ হাজার ৮ শত ৯৯। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি ঘোড়া প্রতীকের আলহাজ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী পেয়েছেন ২৯ হাজার ৭ শত ৯৩ ভোট। অপর প্রার্থী মোটর সাইকেল প্রতীকের বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আবদুল মাবুদ পেয়েছেন ২ হাজার ৯ শত ১৪ ভোট। বেসরকারিভাবে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন চশমা প্রতীকের সরওয়ার মামুন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৪৩ হাজার ১ শত ২০ ভোট। অপর ২ প্রার্থী যথাক্রমে তালা প্রতীকের ফরহাদুল ইসলাম পেয়েছেন ৭ হাজার ১ শত ৬৩ ভোট ও টিউওবয়েল প্রতীকের জমিল উদ্দীন পেয়েছেন ১১ হাজার ৮ শত ৫৬ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কলস প্রতীকের জেসমিন আক্তার। তিনি ভোট পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯ ভোট এবং তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি শাহীন আক্তার সানা পেয়েছেন ২৫ হাজার ৪ শত ৪১ ভোট।
জানা যায় ,উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ২৩ হাজার ৬ শত ২৬ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ১৯ হাজার ১০৮ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৪ হাজার ৫১৮ জন। কেন্দ্র সংখ্যা সর্বমোট ৭১ টি এবং বুথ সংখ্যা ৫শত ৮১ টি। ৭১ জন প্রিসাইডিং অফিসার ও ৭১ জন সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার, ১ হাজার ১৬২ জন পুলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিলেন প্রতিকেন্দ্রে পুলিশ ৩ থেকে ৪ জন,আনসার বাহিনীর সদস্য পুরুষ ৪ জন, মহিলা ৪ জন। ম্যাজিস্ট্রেট প্রতি ইউনিয়নে ১ জন করে মোট ৯ জন দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন ৩ জন। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ১২ প্লাটুন বিজিবির পাশাপাশি র্যাব এর দুটি টিম দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া মোবাইল টীম ছিলো ৩০টি। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ৪ জুন বিকেল থেকে কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে নির্বাচনী সরঞ্জাম প্রতিটা কেন্দ্রে পৌঁছানো হয়েছে এবং ব্যালট পেপার পৌঁছে ৫ জুন ভোরে।