ঢাকা ০৬:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজীপুরে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ভিজিট  পালিত ছেলেকে হারানো ছেলের আসনে বসিয়েছি, সে রোহিঙ্গা নয়: আব্দু সালাম রাউজান প্রেসক্লাবের দ্বি বার্ষিক নির্বাচন: সভাপতি বেলাল উদ্দীন,সম্পাদক নেজাম উদ্দিন রানা এনায়েতপুরে ছাত্র আন্দোলনে নিহতের লাশ উত্তোলন না করার দাবীতে সংবাদ সন্মেলন  মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কচুরিপানার ফুল মহাত্মা লালন সাঁইজির ১৩৪তম তিরোধান দিবস পালন উপলক্ষে শাহজাদপুরে লালন গানের আসর অনুষ্ঠিত  সিরাজগঞ্জে এক ঘণ্টার জন্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্ব পেলেন কিশোরী জান্নাতুল শিফা ফ্রান্সে আন্তর্জাতিক সার্বজনীন বুদ্ধ বিহারে কঠিন চীবরদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন কাজিপুরে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের ইন্তেকাল সিরাজগঞ্জে গরু নেই, দম্পতির কাঁধে ঘানির জোয়াল

আরাফাত-পলক পূর্ণমন্ত্রী হচ্ছেন: যে কোন সময় মন্ত্রিসভার রদবদল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪ ২৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ১১ জানুয়ারি গঠিত আওয়ামী লীগের টানা চতুর্থ মেয়াদে মন্ত্রিসভায় আবার রদবদল হতে যাচ্ছে। যদি শেষ পর্যন্ত রদবদল হয় তাহলে তা হবে তৃতীয়বারের মতো মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ। দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ এবং পরিবর্তনের ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে আলাপ করেছেন বলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন। যেকোনো সময় রদবদল হতে পারে বলে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ভূমিধ্বস বিজয়ের পর আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন এবং নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়। এরপর গত পয়লা মার্চ মন্ত্রিসভা সম্প্রচারিত হয়। সেখানে ৭ জন নতুন প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ আনার ব্যাপারে নানারকম আলাপ আলোচনা চলছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, চলতি বাজেট অধিবেশনেই মন্ত্রিসভার রদবদল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আগামী শনিবার প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যাচ্ছেন। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন। এই শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্যই ভারত সরকারের আমন্ত্রণে তিনি দিল্লি সফরে যাচ্ছেন। তিনি দিল্লি থেকে ফেরার পর যে কোন সময়ে রদবদলের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র আভাস দিয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের কাছে এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে দেওয়ার মতো কোন তথ্য নেই। তবে সরকারের সূত্রগুলো বলছে, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত পূর্ণমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। মোহাম্মদ আলী আরাফাত পূর্ণমন্ত্রী হয়ে তথ্য মন্ত্রী থাকবেন নাকি অন্যত্র যাবেন সে নিয়েও নানা রকম গুঞ্জন রয়েছে।

একটি মহল বলছে, মোহাম্মদ আলী আরাফাত পূর্ণমন্ত্রী হয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। উল্লেখ্য, ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগের এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আর সে কারণেই সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি, দলের কোন্দল কমানোর জন্য তাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে একটি গুঞ্জন রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত কোন তথ্য কেউ দিতে পারেনি। সেক্ষেত্রে তাজুল ইসলাম হয়তো অন্য কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিতে পারেন। তাকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলেও বিভিন্ন সূত্র আভাস দিয়েছে।

তবে একটি সূত্র বলছে, এতো বড় ধরনের রদবদল হবে না। শুধু মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে পূর্ণমন্ত্রী করা হবে। সেক্ষেত্রে এই দুটি বিভাগে একজন করে প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়ার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বর্তমান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী করা যায় কি না সে ব্যাপারে আলোচনা ছিল। তবে সেটি এখনই হচ্ছে না। এখানে একজন হেভিওয়েট পূর্ণ মন্ত্রী দেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের দুজন হেভিওয়েট নেতার নাম আলোচনায় আছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান অথবা জাহাঙ্গীর কবির নানক যে কোন দুজনের একজন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলেছেন, এ ব্যাপারে নিশ্চিত কোন তথ্য তাদের হাতে নেই। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একজন প্রতিমন্ত্রী দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও মন্ত্রিসভায় যুক্ত হতে পারেন বেশ কয়েকজন নতুন মুখ।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আরাফাত-পলক পূর্ণমন্ত্রী হচ্ছেন: যে কোন সময় মন্ত্রিসভার রদবদল

আপডেট সময় : ১০:২১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ১১ জানুয়ারি গঠিত আওয়ামী লীগের টানা চতুর্থ মেয়াদে মন্ত্রিসভায় আবার রদবদল হতে যাচ্ছে। যদি শেষ পর্যন্ত রদবদল হয় তাহলে তা হবে তৃতীয়বারের মতো মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ। দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ এবং পরিবর্তনের ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে আলাপ করেছেন বলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন। যেকোনো সময় রদবদল হতে পারে বলে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ভূমিধ্বস বিজয়ের পর আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন এবং নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়। এরপর গত পয়লা মার্চ মন্ত্রিসভা সম্প্রচারিত হয়। সেখানে ৭ জন নতুন প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ আনার ব্যাপারে নানারকম আলাপ আলোচনা চলছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, চলতি বাজেট অধিবেশনেই মন্ত্রিসভার রদবদল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আগামী শনিবার প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যাচ্ছেন। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন। এই শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্যই ভারত সরকারের আমন্ত্রণে তিনি দিল্লি সফরে যাচ্ছেন। তিনি দিল্লি থেকে ফেরার পর যে কোন সময়ে রদবদলের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র আভাস দিয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের কাছে এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে দেওয়ার মতো কোন তথ্য নেই। তবে সরকারের সূত্রগুলো বলছে, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত পূর্ণমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। মোহাম্মদ আলী আরাফাত পূর্ণমন্ত্রী হয়ে তথ্য মন্ত্রী থাকবেন নাকি অন্যত্র যাবেন সে নিয়েও নানা রকম গুঞ্জন রয়েছে।

একটি মহল বলছে, মোহাম্মদ আলী আরাফাত পূর্ণমন্ত্রী হয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। উল্লেখ্য, ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগের এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আর সে কারণেই সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি, দলের কোন্দল কমানোর জন্য তাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে একটি গুঞ্জন রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত কোন তথ্য কেউ দিতে পারেনি। সেক্ষেত্রে তাজুল ইসলাম হয়তো অন্য কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিতে পারেন। তাকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলেও বিভিন্ন সূত্র আভাস দিয়েছে।

তবে একটি সূত্র বলছে, এতো বড় ধরনের রদবদল হবে না। শুধু মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে পূর্ণমন্ত্রী করা হবে। সেক্ষেত্রে এই দুটি বিভাগে একজন করে প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়ার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বর্তমান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী করা যায় কি না সে ব্যাপারে আলোচনা ছিল। তবে সেটি এখনই হচ্ছে না। এখানে একজন হেভিওয়েট পূর্ণ মন্ত্রী দেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের দুজন হেভিওয়েট নেতার নাম আলোচনায় আছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান অথবা জাহাঙ্গীর কবির নানক যে কোন দুজনের একজন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলেছেন, এ ব্যাপারে নিশ্চিত কোন তথ্য তাদের হাতে নেই। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একজন প্রতিমন্ত্রী দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও মন্ত্রিসভায় যুক্ত হতে পারেন বেশ কয়েকজন নতুন মুখ।’