ঢাকা ১১:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এনায়েতপুরে শহীদদের স্মরণে ২নং স্থল ইউনিয়নে দোয়া ও আলোচনা সভা  সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন সাজাপ্রাপ্ত সেই প্রধান শিক্ষক আফছার আলী দূর্গা পূজাকে ঘিরে ব্যস্ত রাউজানের প্রতিমা শিল্পীরা  নারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার গোপন কক্ষটি গোপন ছিল না দায়িত্ব গ্রহণের আড়াই ঘন্টা পর রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগ প্রেমিকার টাকা স্বর্ণলংকার হাতিয়ে নিয়ে ফ্লাইওভার থেকে ফেলে হত্যা  এনায়েতপুরে আগামী ২১শে সেপ্টেম্বর বিএনপির স্মরণ সভাকে সফল করতে প্রস্তুতিমূলক সভা  সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের নতুন সদস্য হলেন ২৫ গণমাধ্যম কর্মী রাজনৈতিক দলের সাথে মামলায় জড়িয়ে সাংবাদিকদের হয়রানি না করার আহবান

গোপনে উইঘুরদের পক্ষে কাজ করছে তুরস্ক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪ ২১ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী পদ্ধতিগত নির্যাতন ও দমনপীড়নের জন্য বেশ কুখ্যাত পরাশক্তি চীন। বিশেষ করে দেশটির পূর্ব তুর্কিস্তান তথা জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসরত উইঘুর মুসলিমদের ওপর চীনা দমনপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার সারা বিশ্ব। যদিও তাতে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই বেইজিংয়ের। এমনকি নিজ নিজ অর্থনৈতিক সুবিধার স্বার্থে এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ অধিকাংশ মুসলিম দেশ। তবে একই ভাষা ও জাতিগোষ্ঠী হওয়ার সুবাদে উইঘুর মুসলিমদের অধিকার নিয়ে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে তুরস্ক। বলা হচ্ছে প্রকাশ্যে না হলেও কূটনৈতিকভাবে উইঘুরদের স্বার্থ রক্ষায় নিজেদের চেষ্টা জারি রেখেছে আঙ্কারা।’

মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে চীন সফরে যান তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। এ সময় তুর্কি ভাষাভাষী উইঘুরদের অধিকার ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য গোপনে কূটনৈতিক প্রচেষ্টাও চালান তিনি। দুজন তুর্কি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এমন তথ্য জানায় সংবাদমাধ্যমটি।

বেইজিং সফরকালে হাকান ফিদান চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যাং ঝ্যাং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সফরকালে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিনজিয়াংয়ের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটিও ভ্রমণ করেন। ২০১২ সালের পর এটিকে উইঘুর অঞ্চলে সবচেয়ে গুরুত্বপর্ণ সফল বলে মনে করা হচ্ছে।

জিনজিয়াং সফরকালে ফিদান উরুমকি, কাশগার এবং উইঘুর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় ফিদান একটি ফিরোজা রঙের টাই পরেছিলেন, যা উইঘুর জাতীয় পতাকার সঙ্গে সম্পর্কিত। সফরে পূর্ব তুর্কিস্তানের শহরগুলোকে প্রাচীন তুর্কি-ইসলামিক শহর হিসেবে উল্লেখ করেন ফিদান, যা চীনকে তুর্কি ও ইসলামিক বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত করে। তবে এ সময় উইঘুর সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে চীনের দমনপীড়ন ও পুনঃশিক্ষা ক্যাম্পে বিপুল পরিমাণ উইঘুর নারী-পুরুষকে আটক রাখার ব্যাপারে একেবারেই নিশ্চুপ ছিলেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তুরস্কের দুটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, আঙ্কারা বেইজিংয়ের কাছে উইঘুর ইস্যুটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য জোর দিয়েছে। এ সময় তুর্কি কর্মকর্তারা চীনা কর্মকর্তাদের জানান, উইঘুর তুর্কিদের সাংস্কৃতিক অধিকার এবং মূল্যবোধ রক্ষার বিষয়টি তুর্কি বিশ্ব এবং ইসলামিক বিশ্বের সংবেদনশীলতার সঙ্গে সম্পর্কিত। সূত্রগুলো জানায়, আঙ্কারা চীনের ‘এক চীন’ নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। একইসঙ্গে উইঘুরদের অধিকার রক্ষার প্রতিও গুরুত্ব দেয়।

তুর্কি কর্মকর্তারা বেইজিংকে জানায়, উইঘুরদের সম্পর্কে তুরস্ক ও ইসলামি বিশ্বের উদ্বেগ দূর করা সকলের জন্যই মঙ্গলজনক হবে। এ ব্যাপারে একমাত্র চীনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তুর্কি কূটনীতিকরা। অবশ্য ফিদানের এমন কার্যক্রমে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছেন চীনা কর্তৃপক্ষ। জিনজিয়াংয়ের শহরগুলোকে তুর্কি ও ইসলামিক শহর বলে উল্লেখ করা চীনের দৃষ্টিভঙ্গির ঠিক উল্টো। তবে বিবৃতিতে ‘এক চীন’ নীতি ও চীনের অভ্যন্তরে কোনো প্রকার সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রতি তুরস্কের বিরোধিতা দুই দেশের সম্পর্কে অনেকটাই ভারসাম্য এনে দিবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

গোপনে উইঘুরদের পক্ষে কাজ করছে তুরস্ক

আপডেট সময় : ১১:৫৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী পদ্ধতিগত নির্যাতন ও দমনপীড়নের জন্য বেশ কুখ্যাত পরাশক্তি চীন। বিশেষ করে দেশটির পূর্ব তুর্কিস্তান তথা জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসরত উইঘুর মুসলিমদের ওপর চীনা দমনপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার সারা বিশ্ব। যদিও তাতে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই বেইজিংয়ের। এমনকি নিজ নিজ অর্থনৈতিক সুবিধার স্বার্থে এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ অধিকাংশ মুসলিম দেশ। তবে একই ভাষা ও জাতিগোষ্ঠী হওয়ার সুবাদে উইঘুর মুসলিমদের অধিকার নিয়ে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে তুরস্ক। বলা হচ্ছে প্রকাশ্যে না হলেও কূটনৈতিকভাবে উইঘুরদের স্বার্থ রক্ষায় নিজেদের চেষ্টা জারি রেখেছে আঙ্কারা।’

মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে চীন সফরে যান তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। এ সময় তুর্কি ভাষাভাষী উইঘুরদের অধিকার ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য গোপনে কূটনৈতিক প্রচেষ্টাও চালান তিনি। দুজন তুর্কি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এমন তথ্য জানায় সংবাদমাধ্যমটি।

বেইজিং সফরকালে হাকান ফিদান চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যাং ঝ্যাং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সফরকালে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিনজিয়াংয়ের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটিও ভ্রমণ করেন। ২০১২ সালের পর এটিকে উইঘুর অঞ্চলে সবচেয়ে গুরুত্বপর্ণ সফল বলে মনে করা হচ্ছে।

জিনজিয়াং সফরকালে ফিদান উরুমকি, কাশগার এবং উইঘুর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় ফিদান একটি ফিরোজা রঙের টাই পরেছিলেন, যা উইঘুর জাতীয় পতাকার সঙ্গে সম্পর্কিত। সফরে পূর্ব তুর্কিস্তানের শহরগুলোকে প্রাচীন তুর্কি-ইসলামিক শহর হিসেবে উল্লেখ করেন ফিদান, যা চীনকে তুর্কি ও ইসলামিক বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত করে। তবে এ সময় উইঘুর সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে চীনের দমনপীড়ন ও পুনঃশিক্ষা ক্যাম্পে বিপুল পরিমাণ উইঘুর নারী-পুরুষকে আটক রাখার ব্যাপারে একেবারেই নিশ্চুপ ছিলেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তুরস্কের দুটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, আঙ্কারা বেইজিংয়ের কাছে উইঘুর ইস্যুটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য জোর দিয়েছে। এ সময় তুর্কি কর্মকর্তারা চীনা কর্মকর্তাদের জানান, উইঘুর তুর্কিদের সাংস্কৃতিক অধিকার এবং মূল্যবোধ রক্ষার বিষয়টি তুর্কি বিশ্ব এবং ইসলামিক বিশ্বের সংবেদনশীলতার সঙ্গে সম্পর্কিত। সূত্রগুলো জানায়, আঙ্কারা চীনের ‘এক চীন’ নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। একইসঙ্গে উইঘুরদের অধিকার রক্ষার প্রতিও গুরুত্ব দেয়।

তুর্কি কর্মকর্তারা বেইজিংকে জানায়, উইঘুরদের সম্পর্কে তুরস্ক ও ইসলামি বিশ্বের উদ্বেগ দূর করা সকলের জন্যই মঙ্গলজনক হবে। এ ব্যাপারে একমাত্র চীনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তুর্কি কূটনীতিকরা। অবশ্য ফিদানের এমন কার্যক্রমে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছেন চীনা কর্তৃপক্ষ। জিনজিয়াংয়ের শহরগুলোকে তুর্কি ও ইসলামিক শহর বলে উল্লেখ করা চীনের দৃষ্টিভঙ্গির ঠিক উল্টো। তবে বিবৃতিতে ‘এক চীন’ নীতি ও চীনের অভ্যন্তরে কোনো প্রকার সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রতি তুরস্কের বিরোধিতা দুই দেশের সম্পর্কে অনেকটাই ভারসাম্য এনে দিবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।’