ঢাকা ১১:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এনায়েতপুরে শহীদদের স্মরণে ২নং স্থল ইউনিয়নে দোয়া ও আলোচনা সভা  সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন সাজাপ্রাপ্ত সেই প্রধান শিক্ষক আফছার আলী দূর্গা পূজাকে ঘিরে ব্যস্ত রাউজানের প্রতিমা শিল্পীরা  নারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার গোপন কক্ষটি গোপন ছিল না দায়িত্ব গ্রহণের আড়াই ঘন্টা পর রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগ প্রেমিকার টাকা স্বর্ণলংকার হাতিয়ে নিয়ে ফ্লাইওভার থেকে ফেলে হত্যা  এনায়েতপুরে আগামী ২১শে সেপ্টেম্বর বিএনপির স্মরণ সভাকে সফল করতে প্রস্তুতিমূলক সভা  সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের নতুন সদস্য হলেন ২৫ গণমাধ্যম কর্মী রাজনৈতিক দলের সাথে মামলায় জড়িয়ে সাংবাদিকদের হয়রানি না করার আহবান

শাহজাদপুর থানার সাবেক ওসি ও ৫ আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা  

বিএনপি নেতাকে জোরপূর্বক আওয়ামীলীগে যোগদানের অভিযোগে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:০৭:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪ ২১ বার পড়া হয়েছে

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কেএম হাবিবুল হক (সাব্বির) কে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক আওয়ামীলীগে যোগদানের ঘটনায় শাহজাদপুর থানার সাবেক ওসি খাজা গোলাম কিবরিয়া সহ ৬ জনের নামে আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলার অপর আসামীরা হলেন, কৈজুরি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, শাহজাদপুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহব্বায়ক আশিকুল হক দিনার, শাহজাদপুর উপজেলা সেচ্ছসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো.আলামিন, শাহজাদপুর পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম শাহু ও শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক কোষাধক্ষ আব্দুস সালাম ব্যাপারী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহজাদপুর উপজেলার পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কেএম হাবিবুল হক (সাব্বির’) বাদী হয়ে শাহজাদপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। এ আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানি মামলাটি আমলে নিয়ে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্ত পূর্বক আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীর আইনজীবী মো: মেরাজ হোসেন রিংকু এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এ মামলার বাদী কে.এম হাবিবুল হক সাব্বির এজাহারে উল্লেখ করেছেন যে, ৬ বছর আগে ২০১৮ সালের ১৪, ১৫, ২০ ডিসেম্বর ৩ দফায় আসামীগণ তাকে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানের জন্য প্রাণনাশের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিল। এতে বাদী রাজি না হওয়ায় বাদীর বাড়ি ভাংচুর করে তাকে থানায় তুলে নিয়ে যায় শাহজাদপুর থানার সাবেক ওসি খাজা গোলাম কিবরিয়া ও কৈজুরি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল সহ অন্য আসামীগণ। এরপর হত্যার হুমকি দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে অথবা আওয়ামী লীগে যোগদান করতে বলে। এতে বাদী রাজি না হওয়ায় তাকে সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম হাসিবুর রহমান স্বপনের বাসভবনে তুলে নিয়ে গিয়ে এলোপাথারি মারপিট করে ও অস্ত্রের মুখে ১০০ টাকা মূল্যের ৩টি অলিখিত স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। পরে বাদীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করায়।

এ বিষয়ে বাদী কে.এম হাবিবুল হক সাব্বির বলেন, ২০১৮ সালে ১৪ ডিসেম্বর গোলাম কিবরিয়ার নির্দেশে আমার বাড়ি ভাংচুর করে আমাকে থানায় তুলে নিয়ে যায়। এরপর আওয়ামী লীগে যোগদান না করলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও হত্যার হুমকী প্রদান করে। এরপর থেকে আমাকে বিভিন্ন ভাবে চাপে রাখে। গত ৫ আগষ্ট দেশ আবারও স্বাধীন হওয়ায় আমিও স্বাধীন হয়েছি, তাই আমি ন্যায় বিচার পেতে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।

এ বিষয়ে জানতে শাহজাদপুর পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম শাহু ও শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক কোষাধক্ষ আব্দুস সালাম ব্যাপারীর মোবাইল ফোনে কল করা হলে তাদেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তাদেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।’

এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি সবুজ রানা বলেন, এ মামলা সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র আমি হাতে পাইনি। ফলে এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবোনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

শাহজাদপুর থানার সাবেক ওসি ও ৫ আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা  

বিএনপি নেতাকে জোরপূর্বক আওয়ামীলীগে যোগদানের অভিযোগে

আপডেট সময় : ০৭:০৭:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কেএম হাবিবুল হক (সাব্বির) কে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক আওয়ামীলীগে যোগদানের ঘটনায় শাহজাদপুর থানার সাবেক ওসি খাজা গোলাম কিবরিয়া সহ ৬ জনের নামে আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলার অপর আসামীরা হলেন, কৈজুরি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, শাহজাদপুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহব্বায়ক আশিকুল হক দিনার, শাহজাদপুর উপজেলা সেচ্ছসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো.আলামিন, শাহজাদপুর পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম শাহু ও শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক কোষাধক্ষ আব্দুস সালাম ব্যাপারী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহজাদপুর উপজেলার পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কেএম হাবিবুল হক (সাব্বির’) বাদী হয়ে শাহজাদপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। এ আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানি মামলাটি আমলে নিয়ে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্ত পূর্বক আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীর আইনজীবী মো: মেরাজ হোসেন রিংকু এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এ মামলার বাদী কে.এম হাবিবুল হক সাব্বির এজাহারে উল্লেখ করেছেন যে, ৬ বছর আগে ২০১৮ সালের ১৪, ১৫, ২০ ডিসেম্বর ৩ দফায় আসামীগণ তাকে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানের জন্য প্রাণনাশের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিল। এতে বাদী রাজি না হওয়ায় বাদীর বাড়ি ভাংচুর করে তাকে থানায় তুলে নিয়ে যায় শাহজাদপুর থানার সাবেক ওসি খাজা গোলাম কিবরিয়া ও কৈজুরি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল সহ অন্য আসামীগণ। এরপর হত্যার হুমকি দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে অথবা আওয়ামী লীগে যোগদান করতে বলে। এতে বাদী রাজি না হওয়ায় তাকে সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম হাসিবুর রহমান স্বপনের বাসভবনে তুলে নিয়ে গিয়ে এলোপাথারি মারপিট করে ও অস্ত্রের মুখে ১০০ টাকা মূল্যের ৩টি অলিখিত স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। পরে বাদীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করায়।

এ বিষয়ে বাদী কে.এম হাবিবুল হক সাব্বির বলেন, ২০১৮ সালে ১৪ ডিসেম্বর গোলাম কিবরিয়ার নির্দেশে আমার বাড়ি ভাংচুর করে আমাকে থানায় তুলে নিয়ে যায়। এরপর আওয়ামী লীগে যোগদান না করলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও হত্যার হুমকী প্রদান করে। এরপর থেকে আমাকে বিভিন্ন ভাবে চাপে রাখে। গত ৫ আগষ্ট দেশ আবারও স্বাধীন হওয়ায় আমিও স্বাধীন হয়েছি, তাই আমি ন্যায় বিচার পেতে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।

এ বিষয়ে জানতে শাহজাদপুর পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম শাহু ও শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক কোষাধক্ষ আব্দুস সালাম ব্যাপারীর মোবাইল ফোনে কল করা হলে তাদেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তাদেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।’

এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি সবুজ রানা বলেন, এ মামলা সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র আমি হাতে পাইনি। ফলে এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবোনা।