ঢাকা ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এনায়েতপুরে শহীদদের স্মরণে ২নং স্থল ইউনিয়নে দোয়া ও আলোচনা সভা  সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন সাজাপ্রাপ্ত সেই প্রধান শিক্ষক আফছার আলী দূর্গা পূজাকে ঘিরে ব্যস্ত রাউজানের প্রতিমা শিল্পীরা  নারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার গোপন কক্ষটি গোপন ছিল না দায়িত্ব গ্রহণের আড়াই ঘন্টা পর রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগ প্রেমিকার টাকা স্বর্ণলংকার হাতিয়ে নিয়ে ফ্লাইওভার থেকে ফেলে হত্যা  এনায়েতপুরে আগামী ২১শে সেপ্টেম্বর বিএনপির স্মরণ সভাকে সফল করতে প্রস্তুতিমূলক সভা  সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের নতুন সদস্য হলেন ২৫ গণমাধ্যম কর্মী রাজনৈতিক দলের সাথে মামলায় জড়িয়ে সাংবাদিকদের হয়রানি না করার আহবান

এনায়েতপুরে জামায়াতের বিশাল সমাবেশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:০৫:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩৫ বার পড়া হয়েছে

ইয়াহিয়া এনায়েতপুর সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত ২য় স্বাধীন বাংলাদেশে আর কোন স্বৈরাচারীকে মেনে নেয়া হবে না। রফিকুল ইসলাম খাঁন,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশে নিষ্ঠুর স্বৈরাচার আ’লীগ সরকার বার-বার দেশের স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করেছে। এই আ’লীগ ৭১’ এর পর স্বাধীন বাংলাদেশে বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় শাসন ও শোষণের নীতি অবলম্বন করেছিল। আর খুনী, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা গোটা দেশকে স্বৈরাচারী কায়দায় দেশের মানুষ এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে জিম্মী ও অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। পনের বছর আ’লীগের নিষ্ঠুর ও ফ্যাসিবাদী চরিত্রের অপশাসন ও শোষণের আমলে খুন, গুম, মামলা-হামলা আর স্বাধীন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের মহোৎসবে নির্মমভাবে মেতেছিলো। দেশে ন্যয়বিচার বলতে কিছুই ছিল না। বিচার ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরুপে ধ্বংস করে দিয়েছিল। এমতোবস্থায় ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত ২য় স্বাধীন বাংলাদেশে আর কোন স্বৈরাচারীকে মেনে নেয়া

হবে না। মঙ্গলবার, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, এনায়েতপুর থানা শাখা’র উদ্যোগে চলমান প্রেক্ষাপটে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, বৈষমাবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনায় এক আলোচনা সভা ও দো’য়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ঐতিহ্যবাহী এনায়েতপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন এনায়েতপুর থানা আমীর ডা. মাও, মোঃ সেলিম রেজা। আলোচনা সভাটি হাজার হাজার ছাত্র-জনতার উপস্থিতিতে এক বিশাল সমাবেশে রূপ নেয়। এনায়েতপুর থানা সেক্রেটারী ডা.মোফাজ্জল হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, কেন্দ্রীয় মজলিশে শু’রা সদসা, সিরাজগঞ্জ জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাও. শাহীনূর আলম। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শু’রা সদস্য, জেলা নায়েবে আমীর মো. আলী আলম, জেলা নায়েবে আমীর মাও, আব্দুস সালাম, জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, বেলকুচি উপজেলা আমীর আরিফুল ইসলাম সোহেল, উল্লাপাড়া উপজেলা আমীর মাও, শাহজাহান আলী, শাহজাদপুর উপজেলা আমীর মাও, মিজানুর রহমান, চৌহালী উপজেলা আমীর আবু সালেহ মোহাম্মদ আবু সাইদ, জামায়াত নেতা অধ্যাপক আব্দুল মজিদ, বেলকুচি উপজেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক নূর-উন-নবী সরকার, এনায়েতপুর থানা নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাও, আব্দুল গফুর, জামায়াত নেতা আল-আমীন খন্দকার, জুবায়ের হোসেন, হাজী রফিকুল্লাহ খন্দকার, শ্রমিক নেতা ডা. আইয়ূব আলী ও থানা শিবির সভাপতি ছাত্রনেতা ফয়সাল খন্দকার প্রমুখ। প্রধান অতিথি মাও. রফিকুল ইসলাম খাঁন তাঁর বক্তৃতায় আরো বলেন, একটি সুখী-সমৃদ্ধ, বাসযোগ্য সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সবাইকে ঐক্যবন্ধভাবে কাজ করতে হবে। তিনি, ইনসাফ ভিত্তিক, একটি বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সকল দেশ প্রেমিক নাগরিকদেরকে জামায়াতের হাতকে শক্তিশালী করার উদাত্ত আহবান জানান। বিশেষ অতিথি জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাও. শাহীনুর আলম দেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব অটুট রাখতে গণতান্ত্রিক ও দেশ প্রেমিক সকল ছাত্র-জনতাকে সব সময় সতর্ক থাকার এবং দেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার আহবান জানান। সমাবেশে, এনায়েতপুর থানাকে উপজেলা ঘোষণা, যমুনা নদীর ভাঙ্গণ রোধ ও ব্রাহ্মণগ্রাম থেকে পাঁচিল পর্যন্ত টেকসই বাঁধ নির্মাণ, পূর্বের ন্যায় চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার পূর্বাঞ্চল নিয়ে সিরাজগঞ্জ-৬ সংসদীয় আসন পূর্নবহাল, শহীদ পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আন্দোলনে আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারীদের যথাযথ পুর্নবাসন করার ৫টি প্রস্তুবনা পেশ ও সর্বসম্মতিক্রমে গৃহিত হয়।

প্রধান অতিথি মাও, রফিকুল ইসলাম খাঁন সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে এনায়েতপুরে নিহত ৩ বীর; শহীদ শিহাব, শহীদ সিয়াম ও শহীদ ইয়াহিয়া’র পরিবারে যান এবং পৃথক পৃথকভাবে শহীদ পরিবারের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। তিনি, শহীদ পরিবারের সদস্যদের সার্বিক খোঁজ-খবর নেন এবং জামায়াতের পক্ষ হতে পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদানের অর্থ তুলে দেন। এ সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হলে তিনি সকল শহীদ পরিবারকে ধৈর্য্য ধরার আহবান জানান এবং শহীদদের এই আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে শহীদদের শাহাদাৎ কবুলিয়াতের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

এনায়েতপুরে জামায়াতের বিশাল সমাবেশ

আপডেট সময় : ০৫:০৫:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ইয়াহিয়া এনায়েতপুর সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত ২য় স্বাধীন বাংলাদেশে আর কোন স্বৈরাচারীকে মেনে নেয়া হবে না। রফিকুল ইসলাম খাঁন,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশে নিষ্ঠুর স্বৈরাচার আ’লীগ সরকার বার-বার দেশের স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করেছে। এই আ’লীগ ৭১’ এর পর স্বাধীন বাংলাদেশে বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় শাসন ও শোষণের নীতি অবলম্বন করেছিল। আর খুনী, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা গোটা দেশকে স্বৈরাচারী কায়দায় দেশের মানুষ এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে জিম্মী ও অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। পনের বছর আ’লীগের নিষ্ঠুর ও ফ্যাসিবাদী চরিত্রের অপশাসন ও শোষণের আমলে খুন, গুম, মামলা-হামলা আর স্বাধীন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের মহোৎসবে নির্মমভাবে মেতেছিলো। দেশে ন্যয়বিচার বলতে কিছুই ছিল না। বিচার ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরুপে ধ্বংস করে দিয়েছিল। এমতোবস্থায় ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত ২য় স্বাধীন বাংলাদেশে আর কোন স্বৈরাচারীকে মেনে নেয়া

হবে না। মঙ্গলবার, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, এনায়েতপুর থানা শাখা’র উদ্যোগে চলমান প্রেক্ষাপটে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, বৈষমাবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনায় এক আলোচনা সভা ও দো’য়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ঐতিহ্যবাহী এনায়েতপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন এনায়েতপুর থানা আমীর ডা. মাও, মোঃ সেলিম রেজা। আলোচনা সভাটি হাজার হাজার ছাত্র-জনতার উপস্থিতিতে এক বিশাল সমাবেশে রূপ নেয়। এনায়েতপুর থানা সেক্রেটারী ডা.মোফাজ্জল হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, কেন্দ্রীয় মজলিশে শু’রা সদসা, সিরাজগঞ্জ জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাও. শাহীনূর আলম। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শু’রা সদস্য, জেলা নায়েবে আমীর মো. আলী আলম, জেলা নায়েবে আমীর মাও, আব্দুস সালাম, জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, বেলকুচি উপজেলা আমীর আরিফুল ইসলাম সোহেল, উল্লাপাড়া উপজেলা আমীর মাও, শাহজাহান আলী, শাহজাদপুর উপজেলা আমীর মাও, মিজানুর রহমান, চৌহালী উপজেলা আমীর আবু সালেহ মোহাম্মদ আবু সাইদ, জামায়াত নেতা অধ্যাপক আব্দুল মজিদ, বেলকুচি উপজেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক নূর-উন-নবী সরকার, এনায়েতপুর থানা নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাও, আব্দুল গফুর, জামায়াত নেতা আল-আমীন খন্দকার, জুবায়ের হোসেন, হাজী রফিকুল্লাহ খন্দকার, শ্রমিক নেতা ডা. আইয়ূব আলী ও থানা শিবির সভাপতি ছাত্রনেতা ফয়সাল খন্দকার প্রমুখ। প্রধান অতিথি মাও. রফিকুল ইসলাম খাঁন তাঁর বক্তৃতায় আরো বলেন, একটি সুখী-সমৃদ্ধ, বাসযোগ্য সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সবাইকে ঐক্যবন্ধভাবে কাজ করতে হবে। তিনি, ইনসাফ ভিত্তিক, একটি বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সকল দেশ প্রেমিক নাগরিকদেরকে জামায়াতের হাতকে শক্তিশালী করার উদাত্ত আহবান জানান। বিশেষ অতিথি জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাও. শাহীনুর আলম দেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব অটুট রাখতে গণতান্ত্রিক ও দেশ প্রেমিক সকল ছাত্র-জনতাকে সব সময় সতর্ক থাকার এবং দেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার আহবান জানান। সমাবেশে, এনায়েতপুর থানাকে উপজেলা ঘোষণা, যমুনা নদীর ভাঙ্গণ রোধ ও ব্রাহ্মণগ্রাম থেকে পাঁচিল পর্যন্ত টেকসই বাঁধ নির্মাণ, পূর্বের ন্যায় চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার পূর্বাঞ্চল নিয়ে সিরাজগঞ্জ-৬ সংসদীয় আসন পূর্নবহাল, শহীদ পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আন্দোলনে আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারীদের যথাযথ পুর্নবাসন করার ৫টি প্রস্তুবনা পেশ ও সর্বসম্মতিক্রমে গৃহিত হয়।

প্রধান অতিথি মাও, রফিকুল ইসলাম খাঁন সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে এনায়েতপুরে নিহত ৩ বীর; শহীদ শিহাব, শহীদ সিয়াম ও শহীদ ইয়াহিয়া’র পরিবারে যান এবং পৃথক পৃথকভাবে শহীদ পরিবারের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। তিনি, শহীদ পরিবারের সদস্যদের সার্বিক খোঁজ-খবর নেন এবং জামায়াতের পক্ষ হতে পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদানের অর্থ তুলে দেন। এ সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হলে তিনি সকল শহীদ পরিবারকে ধৈর্য্য ধরার আহবান জানান এবং শহীদদের এই আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে শহীদদের শাহাদাৎ কবুলিয়াতের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন।