পরকিয়ায় আত্মহত্যার দায়ভার স্বামী-শ্বাশুড়ীর উপর চাপানোর অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৬:৩০:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১২ বার পড়া হয়েছে
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"square_fit":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}
ঝালকাঠি প্রতিনিধি: পরকিয়ায় আত্মহত্যার দায়ভার স্বামী-শ্বাশুড়ীর উপর চাপানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার কানুনিয়া গ্রামের মোঃ জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা আক্তার (১৯) বাবার বাড়ি পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার বউলাকান্দা গ্রামে। এলাকাবাসী ও মোঃ জাহিদুল ইসলামের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসারত গৃহবধূর বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে । নাজমা আক্তারের পরকিয়া প্রেম থাকায় তার বাবার পরিবারের সাথে তর্ক বির্তক হয়। নাজমা আক্তার মাসখানেক আগে গুয়াটন হেমায়েত উদ্দিন কলেজে একজন শিক্ষকের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় লোকজনের হাতে ধরা পরে এবং ঘটনা জানাজানি হলে নাজমা আক্তারের মা, ভাই-বোন মিলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। একপ্রকার বাবার বাড়ির তোপের মুখে পড়ে নাজমা স্বামীর বাড়িতে চলে আসেন। পরকিয়ার বিষয়টি স্বামীর কাছে গোপন রেখে নাজমা মানসিক যন্ত্রণায় ভুগতে থাকেন। স্বামীর বাড়ি আসার দুইদিন পর ঘরে কেউ না থাকা অবস্থায় বিকাল ০৬.০০ ঘটিকার দিকে নাজমা বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। বিষপানের বিষয়টি নাজমা তার মেজো বোন ময়না আক্তারকে মোবাইল ফোনে জানায় এবং ময়না আক্তার তার ছোট বোন জামাই নাজমার স্বামী মোঃ জাহিদুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে জানায়। স্বামী মোঃ জাহিদুল ইসলাম বাড়ির কাছেই মুদি দোকানের ব্যাবসা করেন, খবর পেয়ে তৎক্ষানিক ভাবে দোকান বন্ধ করে ডাক চিৎকার দিয়ে প্রতিবাসীদের সহ বাড়িতে চলে আসেন ও চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিষপানকারী নাজমা আক্তারকে ওয়াশ করেন এবং চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি দেয়। রোগীর অবস্থা খারাপ হলে শনিবার ৩১ আগষ্ট ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। নাজমা আক্তার বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ সেপ্টেম্বর ভোর ৪:৫০ টায় সময় হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমা আক্তারকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। নাজমা আক্তারের মৃত্যুর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরিশাল কোতোয়ালি থানায় অপমৃত্যুর বিষয়টি জানায় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা স্বামী মোঃ জাহিদুল ইসলাম, নাজমা আক্তারের সেজো ভাই মোঃ শামীম সহ উপস্থিত সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একই সময় নাজমা আক্তারের মৃত্যু লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে এবং লাশের ময়না তদন্ত করেন। বরিশাল কোতোয়ালি থানায় নাজমা আক্তারের অপমৃত্যুর একটি মামলা হয়, মামলা নং- ২৪, তারিখ ০১/০৯/২০২৪ ইং সাল। নাজমা আক্তারের লাশ নিয়ে বাড়িতে আসার পরেই নাজমা আক্তারের বাড়ির সবাই মৃত্যুর আসল পরকিয়ার রহস্য ধামাচাপা দিয়ে নাজমার স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করে। স্থানীয় লোকজন নাজমা আক্তারের স্বামী ও তার শাশুড়ির বিরুদ্ধে অহেতুক হয়রানির বিষয়টি উদ্দেশ্য প্রনোদিত করে দাবী করেছে এবং সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে আসল প্ররোচনাকারীর বিচারদাবী করেছেন।”
নাজমার মা ফরিদা বেগম ও বোন ময়না বেগম অভেিযাগ করে জানান, “চলতি বছরের ৮ মার্চ পারিবারিকভাব বিয়ে হওয়ার পর থেকে মোঃ জাহিদুল ইসলাম স্ত্রী নাজমা আক্তারের কাছে যৌতুক দাবী করে।