ঢাকা ১২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষক উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার পেয়েছে ‘গুড নেইবারস বাংলাদেশ’ বেলকুচিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভন্ড কবিরাজের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান   বিশ্ব শিক্ষক দিবসে নিজ সহকর্মিদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গুণী শিক্ষক শওকত আলী বদির ক্যাশিয়ার ফারুককে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন র‍্যাব সদস্যরা কাজিপুরের চরাঞ্চলের বিদ্যুতে শুভংকরের ফাঁকি ! চাহিদা ১০ বরাদ্দ মাত্র ২ মেগাওয়াট!  স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ  কাজিপুরে ধর্ষণের অভিযোগে অফিস সহকারি গ্রেপ্তার বেলকুচিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত রায়গঞ্জে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদযাপিত 

কাউন্দিয়া ইউনিয়নের মূর্তিমান আতঙ্কের অপর নাম’কুখ্যাত ভূমিদস্যু সাইফুল আলম খান চেয়ারম্যান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৯:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৪২ বার পড়া হয়েছে

বাংলা পোর্টাল: ত্রিশ বছর আগে সম্পদ বলতে ছিল পিতার রেখে যাওয়া ১০ শতাংশ জমির উপর  একটি টিনের ঘর। এখন হাজার কোটি টাকার মালিক। প্রতিষ্ঠা করেছেন রাজকীয় বাড়ি, রিয়েল এস্টেট এন্ড কনস্ট্রাকশন প্রতিষ্ঠান

সাইফুল নগর হাউজিং প্রকল্প সহ প্রায় ডজন খানেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

এসব অবৈধ সম্পদের মূল্য আনুমানিক  হাজার কোটি টাকা। তিনি সাভার উপজেলার কাউন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান সাইফুল আলম খান।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের চেয়ারই তার হাতে তুলে দিয়েছে আলাদিনের চেরাগ।

রাজনীতির শুরুতে হত্যা, চাঁদাবাজি, অপহরণ, মাদক, অস্ত্র ও হত্যাচেষ্টার ডজন খানেক মামলায় জড়িয়েও কীভাবে পার পেয়ে গেলেন? এই প্রশ্ন জনমনে।

সাভার থানার শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায়ও ছিল সাইফুলের নাম। এতকিছুর পরেও কীভাবে উঠে আসলেন, দখল করলেন কাউন্দিয়ার মসনদ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিপুল পরিমাণ টাকা আর নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করেই দ্রুতগতিতে এগিয়ে গেছেন চেয়ারম্যান সাইফুল।

এ পথে কেউ বাধা হলেই তার উপর অস্ত্র নিয়ে হামলে পড়েছেন। চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সস্ত্রাসবাদ, টেন্ডারবাজি, ইউনিয়নের সর্বত্র একক আধিপত্য বিস্তার করেন সাইফুল ।

যার দাপটে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারাও তটস্থ। অল্প সময়েই ভাগ্য বদলে গেছে সাইফুলের,  সরকারি অফিস, ফুটপাথ, বাসস্ট্যান্ড, সিএনজি স্ট্যান্ড, মসজিদ-মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ সবই সাইফুলের অনুসারীদের নিয়ন্ত্রণে। কেউ চাঁদা তোলেন, কেউ আবার বালু, ও ডিশ ব্যবসা করেন। পরিবহন, নদী ও আবাসন ব্যবসাও তাদের নিয়ন্ত্রণে। ফলে স্রোতের বেগে বেড়েছে সম্পদ। সাইফুলের অনুকম্পায় সম্পদে ফুলে ফেঁপে উঠেছে তার সহযোগীরাও।

কেউ কেউ দখল করেছেন একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট ও জমি। এসব অজ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের নানা তথ্য  উঠে এসেছে  দৈনিক অন্যায়ের চিত্র আনুসন্ধানে।

সাইফুলের শুরুটা ছিল ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দল পরিবর্তন করে আওয়ামীলীগে যোগ দিলে তৎকালীন ঢাকা ১২ আসনের সংসদ সদস্য সামসুদ্দোহা খান মজলিশের দৃষ্টিতে আসে কুখ্যাত এই ভূমিদস্যু সাইফুল আলম খান।

অনৈতিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সর্বগুণে গুণান্বিত সাইফুল আলম খান তৎকালীন সংসদ সদস্যদের আশীর্বাদপুষ্ট হওয়াতে রাতারাতি হাতে পেয়ে যান আলাদীনের চেড়াগ।

সংসদ সদস্য শামসুদ্দোহা খান মজলিশের একান্ত বিশ্বস্ত আস্থাভাজন সহচর হিসেবে গোটা সাভার উপজেলায় ও কাউন্দিয়া ইউনিয়নে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন দুর্ধর্ষ এই খুনি।

শুরুতে তৎকালীন এমপি শামসুদ্দোহা খান মজলিশ সাহেবের ব্যাক্তিগত ক্যাডার হিসেবে তার সকল গোপন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সামলানোর পাশাপাশি কুখ্যাত ভূমিদস্যু সাইফুল আলম খান গোটা ইউনিয়নে নিজের আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে নিজের সক্রিয় সন্ত্রাসী গ্রুপ ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন

সাইফুল আলম খানের বিশাল সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনী দেখে সংসদ সদস্য শামসুদ্দোহা খান মজলিশ নিজ স্বার্থে  সাইফুল আলম খান কে কিছুদিনের মধ্যেই উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বসিয়ে দেন।

মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি এমন লোভনীয় সুযোগ হাতছাড়া করার পাত্র নন সাইফুল আলম খান তাই নিজের সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর পেশি শক্তির প্রভাব খাটিয়ে সংসদ সদস্য শামসুদ্দোহা খান মজলিসের মন জুগিয়ে বাগিয়ে নেন কাউন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের চেয়ার।

এরপর থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি । সর্বপ্রথম তিনি নিজের স্বার্থসিদ্ধির লক্ষ্যে নিজস্ব বিশাল সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য সফি হাজী,মজিবর হাজী,লিয়াকত আলি,মনু সহ অজ্ঞাত আরো ১৫/২০ জন দিয়ে জোরপূর্বক স্থানীয়দের পাশাপাশি হত অসহায় দরিদ্র ও সখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রাদয়ের মালিকানাধীন সম্পতি ঘরবাড়ি জায়গা জমি দখল করতে শুরু করেন ।

দখলদারিত্ব, টেন্ডারবাজি,চাঁদাবাজি,খুন,রাহাজানির পাশাপাশি মানুষের ফসলি জমির মাটি কেটে নিজের ইট ভাটায় সরবরাহ করতেন সাইফুল, এই সবই চলতো তার আঙুলের ইশারায়। সাইফুল এতটাই বেপোরোয়া যে তার বিরুদ্ধে কেউ  প্রতিবাদ করারও সাহস পায়নি।

যার ফলে এখনো কাউন্দিয়া ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ সাইফুলও তার সক্রিয় গুন্ডা বাহিনির কাছে জিম্মি।

একই তো সংসদ সদস্য শামসুদ্দোহা খান মজলিশের আশীর্বাদের হাত ছিল দুর্ধর্ষ খুনি  সাইফুল আলম খানের মাথায় তার উপরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

কাউন্দিয়া ইউনিয়ন সহ আশেপাশের এলাকার অধিকাংশ লোকজনই তার নিশংস নির্মম নির্যাতনের শিকার হলেও মৃত্যুর ভয়ে মুখ খুলেন না।

তার এই সকল অপকর্মে কেউ বিরোধীতা বা প্রতিবাদ করলে সাইফুল আলম তার নিজস্ব গুন্ডাবাহিনী দিয়ে ভুক্তভোগী ও প্রতিবাদকারীদের উপর চালাতো নির্মম নির্যাতন শত নির্যাতন সহ্য করেও প্রাণের ভয়ে কেউ মুখ খুলতো না কেউ বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা ।

তারা আরো বলেন কুখ্যাত এই ভূমিদস্যু চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসার পর থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারে এক চুল পরিমাণ কমতি রাখেননি কাউন্দিয়া ইউনিয়ন সহ আশেপাশে এলাকার জমি দখল করার পাশাপাশি চেয়ারম্যানের ক্ষমতা ও তার সক্রিয় গুন্ডা বাহিনীর পেশি শক্তি কাজে লাগিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ১৩ শতক জায়গা থেকে ৫ শতক জায়গা সে দখল করে নেয় এই স্বার্থন্বেষী চেয়ারম্যান।

সে এতটাই নারী ও অর্থলোভী যেখানে মাদকের মরণ ছোবলে যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সেখানে সে চিহ্নিত মাদক ব্যবসাহীদের আশ্রয় দেওয়া কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করা সহ তার নিজস্ব সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীকে দিয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কাজে লাগিয়ে

নিরবে গড়ে তোলেন বিশাল অবৈধ সম্পদের পাহাড়।  তৎকালীন সময় তার নাম সেভাবে আলোচনায় না আসলেও ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০০ সালের দিকে অস্ত্র নিয়ে আটকের পর জামিনে বেরিয়ে এসে ফিল্মি স্টাইলে রাজধানীর মিরপুর গুদারাঘাটের ফজা ও মিরপুর ৬ নম্বরের আহমদ কবিরাজ কে হত্যা পর ২০১৬ সালে শাহালম ও শহিদুল্লা হত্যা মামলার মধ্য দিয়ে যথেষ্ট আলোচনায় আসেন এই দুর্ধর্ষ খুনি,কুখ্যাত ভূমিধস্যু চেয়ারম্যান সাইফুল আলম খান।

অস্ত্র ও হত্যা মামলায় আলোচনায় আসার পর থেকে।

কুখ্যাত এই ভূমিদস্যু ও তার সহযোগীরা বিভিন্ন সেক্টরে দখলদারিত্ব,চাঁদাবাজি,হত্যা,সহ নারী নির্যাতনে এতটাই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন যে সাইফুল আলম খান ও তার গুন্ডা বাহিনীর ভয়ে কাউন্দিয়া ইউনিয়নসহ আশেপাশের লোকজন কোণঠাসা হয়ে পড়েন।

অত্র ইউনিয়নে সাইফুল আলম খানের নিপীড়ন নির্যাতন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কেউ যদি থানায় অভিযোগ বা মামলা করেন তাহলে অবৈধ টাকা ও দলীয় প্রভাব ব্যবহার করে সবসময় থেকেছেন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে।

যদিও বা কোনোভাবে কেউ মামলা কিংবা অভিযোগ করে আসে তখন তার গুন্ডা বাহিনীর পেশি শক্তির বলে মামলা তুলে নেয়ার জন্য ভুক্তভোগী পরিবারের উপরে চালানো হয় নির্মম নির্যাতন,এককথায় বলা চলে হামলা মামলা খুন গুমের ওস্তাদ তিনি, তার হুকুমে এমন কোন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নেই যা তার গুন্ডাবাহিনী করেন না।

কউন্দিয়া ইউনিয়নের স্থানীয়রা প্রতিবেদককে জানান অতীতে যেখানে সাইফুল আলম খানের নুন আনতে পান্তা ফুরাতো  বর্তমানে সেই সাইফুল আলম খান কাউন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে অন্যের জমি দখল করার পাশাপাশি  চাঁদাবাজি খুন-খারাবি করে হয়েছেন আঙুল ফুলে কলাগাছ।

ঢাকা সহ ঢাকার বাহিরে নিজের ও স্ত্রী-সন্তানের নামে গড়েছে অঢেল অবৈধ সম্পদের পাহাড় বনেছে হয়েছে হাজার কোটি টাকার মালিক।

রাজধানীর মিরপুরের বুদ্ধিজীবি শহীদ মিনার এলাকায় নির্মাণ করেছেন বিলাসবহুল ছয়তলা একটি বাড়ি,গুদারাঘাটে দুটি প্লট,গোড়ান চটবাড়িতে দুটি প্লট,সাভারের বিরুলিয়ায় ইটের ভাটা ও ৩০ বিঘা জমির উপরে নির্মাণ করেছে প্রশান্তি নামক রিসোর্ট,তামান্না পার্ক সংলগ্ন ১২ শতকের একটি প্লট,বিলাসবহুল তিনটি গাড়িসহ আলিশান ফ্লাট সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়।

২০০০ সালের পর থেকে তার দখলদারিত্বের  রাম রাজত্ব শুরু হলেও কুখ্যাত এই ভূমিদস্যু চেয়ারম্যান সাইফুল আলম খান আজও বীরদর্পে সে তার সম্রাজ্য পরিচালনা করছেন।

দুর্ধর্ষ এই খুনি কুখ্যাত ভুমি দস্যু সাইফুল আলম খান চেয়ারম্যানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর আগে একটি মসজিদ দখল করাকে কেন্দ্র করে ব্যক্তিগত শত্রুতার জের ধরে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে,সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে গত ২৭ শে জুলাই কাউন্দিয়া পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ আল আমিন কে মাঝিরদি গ্রামের বাসিন্দা মোঃ রমিজ হাজীর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে রমিজ হাজীকে আটকের নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান সাইফুল আলম খান।

চেয়ারম্যানের নির্দেশে কর্তব্যরত ফারি ইনচার্জ রমিজ হাজীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদের জন্য আটক করলে কুখ্যাত ভূমিদস্যু চেয়ারম্যান সাইফুল আলম খান কর্তব্যরত অফিসারের নিকট ফোন করে রমিজ হাজির আটক এর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে।

খুনি চেয়ারম্যান নির্দেশ তথাকথিত আওয়ামী লীগ নেতা ও তার সক্রিয় গুন্ডাবাহিনী মাঝিরদি গ্রামের নিরীহ বাসিন্দা রমিজ হাজির বাসায় হামলা চালায় হামলা চলাকালীন সময়ে রমিজ হাজির ছোট ভাই মহিবুল ইসলাম বাধা দিলে উপস্থিত সন্ত্রাসীরা অতর্কিতভাবে তার উপরে হামলা চালিয়ে রামদা দিয়ে কুপিয়ে মহিবুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে তৃতীয় তলার ছাদ থেকে নিচে ফেলে দিলে মহিবুল ইসলাম এর পরিবারের বাকি সদস্যদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে কুখ্যাত ভূমিদস্যু সাইফুল আলম খানের নির্দেশে সক্রিয় সন্ত্রাসী ইয়াসিন,সালেক মিস্ত্রি,বিপ্লব,রানা,ইলসান,সাইফুল ওরফে শাহিন,ফারুক,সিরাজ মহাজন সহ অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জন ভুক্তভোগীর বাড়িঘর ভাঙচুর করে আলমারি থেকে নগদ ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে পরিবারের বাকি সদস্যদেরকে দেখে নেয়ার কথা বলে পালিয়ে যায়।

এই ঘটনায় রমিজ হাজী বাদী হয়ে গত ৩০ আগস্ট সাভার থানায় মামলা দায়ের করেন।

এতে করে কুখ্যাত ভূমিদস্যু সাইফুল আলম খান ও তার গুন্ডাবাহিনী ক্ষীপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার ৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে সাইফুল আলম খানের গুন্ডাবাহিনী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ফের মাহিবুল এর বাড়িতে হাজির হয়ে মামলা তুলে নিতে বলে অন্যথায় মহিবুলের পুরো পরিবার নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার হুমকি প্রদান করে।

এঘটনায় ভুক্তভোগী রমিজ হাজীর পরিবার সাভার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ডায়রি নম্বর-৫৩৪।

দীর্ঘদিন ধরে কাউন্দিয়া ইউনিয়নের মূর্তিমান আতংক,দুর্ধর্ষ খুনি,দখলবাদ,চাঁদাবাজ,নারী লোভী,নেশাখোর,জুয়ারী,সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দাতা কুখ্যাত ভূমিদস্যু সাইফুল আলম খান চেয়ারম্যানের অপরাধের চিত্র ২০০০ হাজার সাল থেকে দেশের বিভিন্ন মূলধারার গণমাধ্যমে অসংখ্য সংবাদ প্রকাশিত হলেও অবৈধ টাকার জোর ও দলীয় প্রভাবের অদৃশ্য কারণে সেগুলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে আসেনি।

মাঝিরদি গ্রামের ভুক্তভোগী রমিজ হাজি ও তার পরিবারের সদস্যরা দুর্ধর্ষ এই খুনি কুখ্যাত ভূমিদস্যু চেয়ারম্যান সাইফুল আলম খানের নিশংস হামলা থেকে বাঁচার জন্য অন্তবর্তী কালীন সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিনীত ভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন যে দ্রুত আসামিদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু তদন্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনলে কাউন্দিয়া বাসি স্বস্তিতে বসবাস করতে পারবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

অভিযোগের বিষয়ে বিবাদী সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল আলম খানসহ বাকিদের ব্যবহারিত ব্যক্তিগত মোবাইলে ফোনে বারবার ফোন করে না পেয়ে বাসস্থানে গিয়েও তাদের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কাউন্দিয়া ইউনিয়নের মূর্তিমান আতঙ্কের অপর নাম’কুখ্যাত ভূমিদস্যু সাইফুল আলম খান চেয়ারম্যান

আপডেট সময় : ০৬:৫৯:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলা পোর্টাল: ত্রিশ বছর আগে সম্পদ বলতে ছিল পিতার রেখে যাওয়া ১০ শতাংশ জমির উপর  একটি টিনের ঘর। এখন হাজার কোটি টাকার মালিক। প্রতিষ্ঠা করেছেন রাজকীয় বাড়ি, রিয়েল এস্টেট এন্ড কনস্ট্রাকশন প্রতিষ্ঠান

সাইফুল নগর হাউজিং প্রকল্প সহ প্রায় ডজন খানেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

এসব অবৈধ সম্পদের মূল্য আনুমানিক  হাজার কোটি টাকা। তিনি সাভার উপজেলার কাউন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান সাইফুল আলম খান।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের চেয়ারই তার হাতে তুলে দিয়েছে আলাদিনের চেরাগ।

রাজনীতির শুরুতে হত্যা, চাঁদাবাজি, অপহরণ, মাদক, অস্ত্র ও হত্যাচেষ্টার ডজন খানেক মামলায় জড়িয়েও কীভাবে পার পেয়ে গেলেন? এই প্রশ্ন জনমনে।

সাভার থানার শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায়ও ছিল সাইফুলের নাম। এতকিছুর পরেও কীভাবে উঠে আসলেন, দখল করলেন কাউন্দিয়ার মসনদ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিপুল পরিমাণ টাকা আর নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করেই দ্রুতগতিতে এগিয়ে গেছেন চেয়ারম্যান সাইফুল।

এ পথে কেউ বাধা হলেই তার উপর অস্ত্র নিয়ে হামলে পড়েছেন। চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সস্ত্রাসবাদ, টেন্ডারবাজি, ইউনিয়নের সর্বত্র একক আধিপত্য বিস্তার করেন সাইফুল ।

যার দাপটে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারাও তটস্থ। অল্প সময়েই ভাগ্য বদলে গেছে সাইফুলের,  সরকারি অফিস, ফুটপাথ, বাসস্ট্যান্ড, সিএনজি স্ট্যান্ড, মসজিদ-মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ সবই সাইফুলের অনুসারীদের নিয়ন্ত্রণে। কেউ চাঁদা তোলেন, কেউ আবার বালু, ও ডিশ ব্যবসা করেন। পরিবহন, নদী ও আবাসন ব্যবসাও তাদের নিয়ন্ত্রণে। ফলে স্রোতের বেগে বেড়েছে সম্পদ। সাইফুলের অনুকম্পায় সম্পদে ফুলে ফেঁপে উঠেছে তার সহযোগীরাও।

কেউ কেউ দখল করেছেন একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট ও জমি। এসব অজ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের নানা তথ্য  উঠে এসেছে  দৈনিক অন্যায়ের চিত্র আনুসন্ধানে।

সাইফুলের শুরুটা ছিল ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দল পরিবর্তন করে আওয়ামীলীগে যোগ দিলে তৎকালীন ঢাকা ১২ আসনের সংসদ সদস্য সামসুদ্দোহা খান মজলিশের দৃষ্টিতে আসে কুখ্যাত এই ভূমিদস্যু সাইফুল আলম খান।

অনৈতিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সর্বগুণে গুণান্বিত সাইফুল আলম খান তৎকালীন সংসদ সদস্যদের আশীর্বাদপুষ্ট হওয়াতে রাতারাতি হাতে পেয়ে যান আলাদীনের চেড়াগ।

সংসদ সদস্য শামসুদ্দোহা খান মজলিশের একান্ত বিশ্বস্ত আস্থাভাজন সহচর হিসেবে গোটা সাভার উপজেলায় ও কাউন্দিয়া ইউনিয়নে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন দুর্ধর্ষ এই খুনি।

শুরুতে তৎকালীন এমপি শামসুদ্দোহা খান মজলিশ সাহেবের ব্যাক্তিগত ক্যাডার হিসেবে তার সকল গোপন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সামলানোর পাশাপাশি কুখ্যাত ভূমিদস্যু সাইফুল আলম খান গোটা ইউনিয়নে নিজের আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে নিজের সক্রিয় সন্ত্রাসী গ্রুপ ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন

সাইফুল আলম খানের বিশাল সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনী দেখে সংসদ সদস্য শামসুদ্দোহা খান মজলিশ নিজ স্বার্থে  সাইফুল আলম খান কে কিছুদিনের মধ্যেই উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বসিয়ে দেন।

মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি এমন লোভনীয় সুযোগ হাতছাড়া করার পাত্র নন সাইফুল আলম খান তাই নিজের সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর পেশি শক্তির প্রভাব খাটিয়ে সংসদ সদস্য শামসুদ্দোহা খান মজলিসের মন জুগিয়ে বাগিয়ে নেন কাউন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের চেয়ার।

এরপর থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি । সর্বপ্রথম তিনি নিজের স্বার্থসিদ্ধির লক্ষ্যে নিজস্ব বিশাল সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য সফি হাজী,মজিবর হাজী,লিয়াকত আলি,মনু সহ অজ্ঞাত আরো ১৫/২০ জন দিয়ে জোরপূর্বক স্থানীয়দের পাশাপাশি হত অসহায় দরিদ্র ও সখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রাদয়ের মালিকানাধীন সম্পতি ঘরবাড়ি জায়গা জমি দখল করতে শুরু করেন ।

দখলদারিত্ব, টেন্ডারবাজি,চাঁদাবাজি,খুন,রাহাজানির পাশাপাশি মানুষের ফসলি জমির মাটি কেটে নিজের ইট ভাটায় সরবরাহ করতেন সাইফুল, এই সবই চলতো তার আঙুলের ইশারায়। সাইফুল এতটাই বেপোরোয়া যে তার বিরুদ্ধে কেউ  প্রতিবাদ করারও সাহস পায়নি।

যার ফলে এখনো কাউন্দিয়া ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ সাইফুলও তার সক্রিয় গুন্ডা বাহিনির কাছে জিম্মি।

একই তো সংসদ সদস্য শামসুদ্দোহা খান মজলিশের আশীর্বাদের হাত ছিল দুর্ধর্ষ খুনি  সাইফুল আলম খানের মাথায় তার উপরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

কাউন্দিয়া ইউনিয়ন সহ আশেপাশের এলাকার অধিকাংশ লোকজনই তার নিশংস নির্মম নির্যাতনের শিকার হলেও মৃত্যুর ভয়ে মুখ খুলেন না।

তার এই সকল অপকর্মে কেউ বিরোধীতা বা প্রতিবাদ করলে সাইফুল আলম তার নিজস্ব গুন্ডাবাহিনী দিয়ে ভুক্তভোগী ও প্রতিবাদকারীদের উপর চালাতো নির্মম নির্যাতন শত নির্যাতন সহ্য করেও প্রাণের ভয়ে কেউ মুখ খুলতো না কেউ বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা ।

তারা আরো বলেন কুখ্যাত এই ভূমিদস্যু চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসার পর থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারে এক চুল পরিমাণ কমতি রাখেননি কাউন্দিয়া ইউনিয়ন সহ আশেপাশে এলাকার জমি দখল করার পাশাপাশি চেয়ারম্যানের ক্ষমতা ও তার সক্রিয় গুন্ডা বাহিনীর পেশি শক্তি কাজে লাগিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ১৩ শতক জায়গা থেকে ৫ শতক জায়গা সে দখল করে নেয় এই স্বার্থন্বেষী চেয়ারম্যান।

সে এতটাই নারী ও অর্থলোভী যেখানে মাদকের মরণ ছোবলে যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সেখানে সে চিহ্নিত মাদক ব্যবসাহীদের আশ্রয় দেওয়া কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করা সহ তার নিজস্ব সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীকে দিয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কাজে লাগিয়ে

নিরবে গড়ে তোলেন বিশাল অবৈধ সম্পদের পাহাড়।  তৎকালীন সময় তার নাম সেভাবে আলোচনায় না আসলেও ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০০ সালের দিকে অস্ত্র নিয়ে আটকের পর জামিনে বেরিয়ে এসে ফিল্মি স্টাইলে রাজধানীর মিরপুর গুদারাঘাটের ফজা ও মিরপুর ৬ নম্বরের আহমদ কবিরাজ কে হত্যা পর ২০১৬ সালে শাহালম ও শহিদুল্লা হত্যা মামলার মধ্য দিয়ে যথেষ্ট আলোচনায় আসেন এই দুর্ধর্ষ খুনি,কুখ্যাত ভূমিধস্যু চেয়ারম্যান সাইফুল আলম খান।

অস্ত্র ও হত্যা মামলায় আলোচনায় আসার পর থেকে।

কুখ্যাত এই ভূমিদস্যু ও তার সহযোগীরা বিভিন্ন সেক্টরে দখলদারিত্ব,চাঁদাবাজি,হত্যা,সহ নারী নির্যাতনে এতটাই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন যে সাইফুল আলম খান ও তার গুন্ডা বাহিনীর ভয়ে কাউন্দিয়া ইউনিয়নসহ আশেপাশের লোকজন কোণঠাসা হয়ে পড়েন।

অত্র ইউনিয়নে সাইফুল আলম খানের নিপীড়ন নির্যাতন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কেউ যদি থানায় অভিযোগ বা মামলা করেন তাহলে অবৈধ টাকা ও দলীয় প্রভাব ব্যবহার করে সবসময় থেকেছেন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে।

যদিও বা কোনোভাবে কেউ মামলা কিংবা অভিযোগ করে আসে তখন তার গুন্ডা বাহিনীর পেশি শক্তির বলে মামলা তুলে নেয়ার জন্য ভুক্তভোগী পরিবারের উপরে চালানো হয় নির্মম নির্যাতন,এককথায় বলা চলে হামলা মামলা খুন গুমের ওস্তাদ তিনি, তার হুকুমে এমন কোন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নেই যা তার গুন্ডাবাহিনী করেন না।

কউন্দিয়া ইউনিয়নের স্থানীয়রা প্রতিবেদককে জানান অতীতে যেখানে সাইফুল আলম খানের নুন আনতে পান্তা ফুরাতো  বর্তমানে সেই সাইফুল আলম খান কাউন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে অন্যের জমি দখল করার পাশাপাশি  চাঁদাবাজি খুন-খারাবি করে হয়েছেন আঙুল ফুলে কলাগাছ।

ঢাকা সহ ঢাকার বাহিরে নিজের ও স্ত্রী-সন্তানের নামে গড়েছে অঢেল অবৈধ সম্পদের পাহাড় বনেছে হয়েছে হাজার কোটি টাকার মালিক।

রাজধানীর মিরপুরের বুদ্ধিজীবি শহীদ মিনার এলাকায় নির্মাণ করেছেন বিলাসবহুল ছয়তলা একটি বাড়ি,গুদারাঘাটে দুটি প্লট,গোড়ান চটবাড়িতে দুটি প্লট,সাভারের বিরুলিয়ায় ইটের ভাটা ও ৩০ বিঘা জমির উপরে নির্মাণ করেছে প্রশান্তি নামক রিসোর্ট,তামান্না পার্ক সংলগ্ন ১২ শতকের একটি প্লট,বিলাসবহুল তিনটি গাড়িসহ আলিশান ফ্লাট সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়।

২০০০ সালের পর থেকে তার দখলদারিত্বের  রাম রাজত্ব শুরু হলেও কুখ্যাত এই ভূমিদস্যু চেয়ারম্যান সাইফুল আলম খান আজও বীরদর্পে সে তার সম্রাজ্য পরিচালনা করছেন।

দুর্ধর্ষ এই খুনি কুখ্যাত ভুমি দস্যু সাইফুল আলম খান চেয়ারম্যানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর আগে একটি মসজিদ দখল করাকে কেন্দ্র করে ব্যক্তিগত শত্রুতার জের ধরে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে,সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে গত ২৭ শে জুলাই কাউন্দিয়া পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ আল আমিন কে মাঝিরদি গ্রামের বাসিন্দা মোঃ রমিজ হাজীর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে রমিজ হাজীকে আটকের নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান সাইফুল আলম খান।

চেয়ারম্যানের নির্দেশে কর্তব্যরত ফারি ইনচার্জ রমিজ হাজীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদের জন্য আটক করলে কুখ্যাত ভূমিদস্যু চেয়ারম্যান সাইফুল আলম খান কর্তব্যরত অফিসারের নিকট ফোন করে রমিজ হাজির আটক এর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে।

খুনি চেয়ারম্যান নির্দেশ তথাকথিত আওয়ামী লীগ নেতা ও তার সক্রিয় গুন্ডাবাহিনী মাঝিরদি গ্রামের নিরীহ বাসিন্দা রমিজ হাজির বাসায় হামলা চালায় হামলা চলাকালীন সময়ে রমিজ হাজির ছোট ভাই মহিবুল ইসলাম বাধা দিলে উপস্থিত সন্ত্রাসীরা অতর্কিতভাবে তার উপরে হামলা চালিয়ে রামদা দিয়ে কুপিয়ে মহিবুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে তৃতীয় তলার ছাদ থেকে নিচে ফেলে দিলে মহিবুল ইসলাম এর পরিবারের বাকি সদস্যদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে কুখ্যাত ভূমিদস্যু সাইফুল আলম খানের নির্দেশে সক্রিয় সন্ত্রাসী ইয়াসিন,সালেক মিস্ত্রি,বিপ্লব,রানা,ইলসান,সাইফুল ওরফে শাহিন,ফারুক,সিরাজ মহাজন সহ অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জন ভুক্তভোগীর বাড়িঘর ভাঙচুর করে আলমারি থেকে নগদ ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে পরিবারের বাকি সদস্যদেরকে দেখে নেয়ার কথা বলে পালিয়ে যায়।

এই ঘটনায় রমিজ হাজী বাদী হয়ে গত ৩০ আগস্ট সাভার থানায় মামলা দায়ের করেন।

এতে করে কুখ্যাত ভূমিদস্যু সাইফুল আলম খান ও তার গুন্ডাবাহিনী ক্ষীপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার ৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে সাইফুল আলম খানের গুন্ডাবাহিনী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ফের মাহিবুল এর বাড়িতে হাজির হয়ে মামলা তুলে নিতে বলে অন্যথায় মহিবুলের পুরো পরিবার নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার হুমকি প্রদান করে।

এঘটনায় ভুক্তভোগী রমিজ হাজীর পরিবার সাভার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ডায়রি নম্বর-৫৩৪।

দীর্ঘদিন ধরে কাউন্দিয়া ইউনিয়নের মূর্তিমান আতংক,দুর্ধর্ষ খুনি,দখলবাদ,চাঁদাবাজ,নারী লোভী,নেশাখোর,জুয়ারী,সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দাতা কুখ্যাত ভূমিদস্যু সাইফুল আলম খান চেয়ারম্যানের অপরাধের চিত্র ২০০০ হাজার সাল থেকে দেশের বিভিন্ন মূলধারার গণমাধ্যমে অসংখ্য সংবাদ প্রকাশিত হলেও অবৈধ টাকার জোর ও দলীয় প্রভাবের অদৃশ্য কারণে সেগুলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে আসেনি।

মাঝিরদি গ্রামের ভুক্তভোগী রমিজ হাজি ও তার পরিবারের সদস্যরা দুর্ধর্ষ এই খুনি কুখ্যাত ভূমিদস্যু চেয়ারম্যান সাইফুল আলম খানের নিশংস হামলা থেকে বাঁচার জন্য অন্তবর্তী কালীন সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিনীত ভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন যে দ্রুত আসামিদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু তদন্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনলে কাউন্দিয়া বাসি স্বস্তিতে বসবাস করতে পারবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

অভিযোগের বিষয়ে বিবাদী সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল আলম খানসহ বাকিদের ব্যবহারিত ব্যক্তিগত মোবাইলে ফোনে বারবার ফোন করে না পেয়ে বাসস্থানে গিয়েও তাদের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি।